মঙ্গলবার, ১৪ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সকাল ১১:৩৭

শিরোনাম :
কথা দিচ্ছি আপনাদের সেবায় আমি সর্বদা পাশে থাকবো : চেয়ারম্যান প্রার্থী এসএম জাকির হোসেন উপজেলার উন্নয়নে আপনাদের পাশে আমি সর্বদা রয়েছি -ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম উদ্দিন মোটরসাইকেল প্রতিকের চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর হামলা, আহত-২ সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়া কে এই জাকির হোসেন প্রচার-প্রচারণায় ভোটারদের মন জয় করছেন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম যারা আমার জন্য কাজ করেছে আমি তাদের রেখে কখনো পালিয়ে যাইনি-এসএম জাকির হোসেন রেমিটেন্স আহরণে রূপালী ব্যাংকের ২ দিন ব্যাপী ক্যাম্পেইন সম্পন্ন সদর উপজেলা নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম উদ্দিনের মনোনয়ন বৈধ ঘোষনা বরিশালের দুই উপজেলায় বৈধতা পেলেন ২৫ প্রার্থী ঝালকাঠিতে বেপরোয়া ট্রাক কেড়ে নিল ১৪ প্রাণ

মামলার জালে বরিশাল বিএনপি

dynamic-sidebar

অনলাইন ডেস্ক :: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরিশাল জেলার ছয়টি আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন ৫১ জন প্রার্থী। এসব প্রার্থীর মধ্যে ১০ জন হলফনামায় তাঁদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা থাকার কথা উল্লেখ করেছেন। তাঁদের মধ্যে অধিকাংশই বিএনপির মনোনীত প্রার্থী। আর আটজন অব্যাহতি পাওয়া মামলার কথা উল্লেখ করেছেন।

রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে মনোনয়নপত্রের সঙ্গে জমা দেওয়া হলফনামায় প্রার্থীদের উল্লেখ করা তথ্যানুযায়ী, বরিশাল-১ (গৌরনদী, আগৈলঝাড়া) আসনের বিএনপির প্রার্থী আবদুস সোবাহানের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক ও বিশেষ ক্ষমতা আইনসহ বিভিন্ন ধারায় সাতটি মামলা আছে। এগুলো বিচারাধীন রয়েছে এবং তিনি জামিনে আছেন। এ আসনে বিএনপির অপর প্রার্থী জহির উদ্দিন স্বপনের বিরুদ্ধে বর্তমানে আয়কর অধ্যাদেশের একটি মামলা ছাড়া কোনো মামলা নেই। তিনি আগের দুটি মামলায় খালাস পেয়েছেন।

বরিশাল-২ (উজিরপুর, বানারীপাড়া) আসনে বিএনপির সৈয়দ শহিদুল হক জামালের বিরুদ্ধে দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনসহ পৃথক ধারায় তিনটি মামলা রয়েছে।

বরিশাল-৩ (বাবুগঞ্জ, মুলাদি) আসনে বিএনপির প্রার্থী ও বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস প্রেসিডেন্ট সেলিমা রহমানের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইন, বিশেষ ক্ষমতা আইনসহ বিভিন্ন ধারায় ৩২টি মামলা রয়েছে। এসব মামলার মধ্যে দুটি তদন্তাধীন, ১১টি বিচারাধীন ও ১৯টি মামলার বিচার কার্যক্রম স্থগিত রয়েছে। এ আসনে বিএনপির অপর প্রার্থী জয়নুল আবেদীনের বিরুদ্ধে বর্তমানে বিশেষ ক্ষমতা আইনে ১৫টি মামলা রয়েছে। যার মধ্যে সাতটি মামলার কার্যক্রম স্থগিত ও আটটি তদন্তাধীন রয়েছে। এর বাইরে তাঁর বিরুদ্ধে করা জননিরাপত্তা ও বিশেষ বিধান আইনের একটি মামলা উচ্চ আদালত থেকে অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে বলে হলফনামায় তিনি উল্লেখ করেছেন।

বরিশাল-৪ (মেহেন্দীগঞ্জ, হিজলা) আসনে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে বর্তমানে বরিশাল মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে একটি মামলা রয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে করা আগের আরও দুটি মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে। এ আসনে বিএনপির মেজবাউদ্দীন ফরহাদের বিরুদ্ধে বর্তমানে বরিশাল নগর হাকিম আদালতে একটি মামলা বিচারাধীন রয়েছে।

বরিশাল-৫ (সদর) আসনে বিএনপির প্রার্থী এবায়েদুল হক চানের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনের একটিসহ দুটি মামলা রয়েছে। এ আসনে বিএনপির অপর প্রার্থী মজিবর রহমান সরোয়ারের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইন, দুর্নীতি দমন আইনসহ বিভিন্ন ধারায় ১৩টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে এবং পাঁচটি মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে।

বরিশাল-৬ (বাকেরগঞ্জ) আসনে বিএনপির আবুল হোসেন খানের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনসহ বিভিন্ন ধারায় দুটি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। অস্ত্র আইনের একটি মামলায় উচ্চ আদালত থেকে তিনি খালাস পেয়েছেন। এ ছাড়া দুর্নীতির একটি মামলায় অভিযোগ প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে বলে তিনি হলফনামায় উল্লেখ করেছেন।

অপর দিকে বরিশাল-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবুল হাসানাত আবদুল্লাহর বিরুদ্ধে কোনো ফৌজদারি মামলা নেই। আগের ১০টি মামলায় তিনি অব্যাহতি ও খালাস পেয়েছেন।

বরিশাল-২ আসনে বিএনপির প্রার্থী সরদার সরফুদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি কোনো মামলা নেই বলে হলফনামায় উল্লেখ করেছেন। বরিশাল আমলি হাকিম আদালতে দায়ের করা একটি মামলায় পুলিশ চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়ায় মামলাটি মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। এ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. শাহ আলম মিঞার বিরুদ্ধে বর্তমানে কোনো মামলা নেই এবং আগের দুটি মামলার একটি মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে এবং অন্যটিতে বেকসুর খালাস পেয়েছেন তিনি।

বরিশাল–৩ আসনে জাতীয় পার্টির গোলাম কিবরিয়ার (টিপু) বিরুদ্ধে বর্তমানে কোনো মামলা নেই এবং আগের তিনটি মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন তিনি।

বরিশাল-৪ আসনে আওয়ামী লীগের পঙ্কজ দেবনাথের বিরুদ্ধে বর্তমানে কোনো ফৌজদারি মামলা নেই বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে প্রতিপক্ষ তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দায়ের করেছে, এমন সংবাদের কথা তিনি শুনেছেন। আগের চারটি মামলায় খালাস পেয়েছেন।

বরিশাল-৫ আসনে জাতীয় পার্টির এ কে এম মুরতজা আবেদীনের বিরুদ্ধে বর্তমানে কোনো মামলা নেই। আগের তিনটি মামলার মধ্যে দুটি উচ্চ আদালতে স্থগিত ও একটিতে পুলিশের চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়ার কথা উল্লেখ করেছেন। এ আসনে ইসলামী আন্দোলনের মুফতি সৈয়দ মো. ফয়জুল করীমের বিরুদ্ধে বর্তমানে কোনো মামলা না থাকলেও আগের তিনটি মামলা নিষ্পত্তি হওয়ার কথা হলফনামায় উল্লেখ করেছেন। একই আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী জাহিদ ফারুকের বিরুদ্ধে বর্তমানে কোনো ফৌজদারি মামলা নেই। আগের মামলা খারিজ হয়ে গেছে।

আমাদের ফেসবুক পাতা

© All rights reserved © 2018 DailykhoborBarisal24.com

Desing & Developed BY EngineerBD.Net